Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে করণীয়

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের
কৃষিতে করণীয়
মোঃ বেনজীর আলম১ ড. এ কে এম শামীম আলম২
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (ডব্লি­উএফপি) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্যঘাটতি হতে পারে। জাতিসংঘের বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড বলেছে, আগামী বছর অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বিশ্বমন্দা শুরু হলে ৩৫ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। করোনা মহামারী ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নেতিবাচক ধারার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এ দুই দেশ থেকে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে কারণ বিশ্বের খাদ্য চাহিদার ৩০-৩৫ শতাংশ এই দুই দেশ থেকে আমদানি করা হতো। এ পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অদূর ভবিষ্যৎ বিশ্ব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেশবাসীকে সর্বাবস্থায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য মজুদ সবসময় সন্তোষজনক অবস্থায় রাখা এবং সর্বক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের জন্য পাঁচ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এবং সার, বীজ, যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকিবাবদ টাকা বরাদ্দ রেখেছেন।
বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে দেশের ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য জোগান নিশ্চিতকরণ। অধিকতর কৃষির উৎপাদন, যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। কৃষিজমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। আজকের এই যে কৃষির উন্নতি এটা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বল্পকালীন সময়ের হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পিতার অনুসৃত পথ অনুসরণ করে কৃষিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে এই খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এসকল পরিকল্পনা নিয়ে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে সকল কাজের বাস্তবায়ন করার কারণেই এসেছে কৃষি ক্ষেত্রের অসাধারণ সকল সফলতা।
কৃষিকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কৃষকের হাতে আধুনিক উপকরণ দেওয়া শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, যা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু রেখেছেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে ৫০-৭০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকদের বাঁচানোর জন্য যে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দরকার তা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের রয়েছে। এ সরকারের সুপরিকল্পিত কৃষিনীতি, কৃষিতে ব্যাপক ভর্তুকি, লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মানসম্পন্ন উপকরণ সরবরাহের ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমাদের সাফল্যকে বিশ্ব আজ অনুকরণ করছে।
বাংলাদেশ একটি কৃষিভিক্তিক দেশ হিসেবে এখানে অনেক ধরনের ফসল এবং ফলমূল উৎপাদিত হয়। কিন্তু উত্তম  কৃষিপদ্ধতি এবং আধুনিক প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার অভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করা যাচ্ছে না। অপর্যাপ্ত সংরক্ষণব্যবস্থা, অপ্রতুল কৃষিবাজার ব্যবস্থাপনা অদক্ষ কৃষিবাজার, প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও ব্যবস্থাপনার অভাব ইত্যাদি কারণে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের উল্লেখযোগ্য অংশ বৈদেশিক চাহিদা মিটাতে বা দেশের কৃষি জিডিপিতে অবদান রাখতে পারছে না। অথচ বাংলাদেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে ফসল ও শাকসবজি নষ্ট হয় শুধুমাত্র সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে। এদেশের মৌসুমি শাকসবজি ও ফলমূলের প্রায় শতকরা চল্লিশ ভাগই পচে যায় বা অন্য কোন কারণে নষ্ট হয়ে যায় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে এ চল্লিশ শতাংশ পণ্যের অর্ধেক অংশকেও রক্ষা করা গেলেও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বছরব্যাপী খাওয়া এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে রফতানিরও অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। বর্তমান সরকারের আমলে সামগ্রিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কৃষি উৎপাদনে বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে ঠিকই, কিন্তু কৃষির উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজন করে কৃষির শিল্পায়ন না করতে পারায় কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রূপান্তর ঘটছে না কাক্সিক্ষত মাত্রায়। সঠিক নিয়ম মেনে উৎপাদিত ও সংগৃহীত ফসল প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজন করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষিপণ্যের বাজার বিস্তৃত করার জন্য কৃষিকে শিল্পায়নের সঙ্গে আরও সম্পর্ক বাড়াতে হবে।
সরকারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজ দানাজাতীয় খাদ্য চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় সমান সমান অবস্থায় আছে। জাতির পিতা কর্তৃক গৃহীত কৃষি উন্নয়নের আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দেশে কৃষি গবেষণার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে এবং কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম বেগবান করে গবেষণার ফলাফল কৃষকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। নগদ সহায়তা, কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদানসহ যখন যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী কৃষককে সহায়তা দেয়াসহ কৃষিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক খাত হিসেবে চিহ্নিত করে           কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণ প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষি উৎপাদন করা হচ্ছে। শুধু উৎপাদনই নয়, উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্যও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশের উৎপাদিত কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত হয়ে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ফলাফলস্বরূপ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে, উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ধারায় অব্যাহত সাফল্য এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি করোনার ছোবল ও রাশিয়া-ইউক্রেন  যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও বিভিন্নমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনিতেই ছোট দেশ, অল্প পরিমাণ কয়লা ছাড়া নেই তেমন কোন কোন খনিজ পদার্থ। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকটি কৃষি পণ্য ছাড়া অধিকাংশই আমদানি করতে হয়। করোনা ও যুদ্ধের কারণে বহির্বিশ্বে প্রায় সকল পণ্যের আমদানি মূল্য বেড়েছে। দেশে আমদানির জন্য জোগান দেয়া ডলারের অধিকাংশের উৎস হলো রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে হুন্ডির আগ্রাসন এবং দেশীয় পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য না থাকায় ডলারের আমদানিও কমে যাচ্ছে। এ ব্যবস্থার উন্নয়নে অন্তত কৃষি পণ্য যেন আমদানি না করতে হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরে সাশ্রয়ী হওয়া এবং দেশে আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের প্রতি। এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার কাজ হিসেবে নিয়ে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত সংস্থাগুলো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে দেশের সকল কৃষকদের মধ্যে এ নিয়ে কাজ করছে। দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমি আছে প্রায় ৪ লক্ষ ৩১ হাজার হেক্টর (সূত্র: কৃষি ডাইরি ২০২২)। পতিত চার লক্ষ হেক্টর জমিতে ফল, সবজি, মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা সম্ভব। এ পরিমাণ জমিতে কিছু না কিছু চাষাবাদ করতে পারলে কৃষি জিডিপি এর পরিমাণ দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে নেহায়েতই কম না। এখনও দেশের বসতবাড়ি, পুকুরপাড়, খালের পাড়, বাড়ির আঙ্গিনায় ও অব্যবহৃত জমিতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির বিস্তার ঘটেনি পরিপূর্ণভাবে। এসকল জমির অধিকাংশই এখনও পতিত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। এসকল পতিত জমিতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষের আওতায় আনা গেলে পারিবারিক শাকসবজি ও ফলমূলের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে দেশের সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। অনাবাদি পতিত ও অব্যবহৃত জমি চাষের আওতায় এনে শাকসবজি, ফলমূল জাতীয় ফসল আবাদ সম্প্রসারণ, চাষ উপযোগী উচ্চমূল্যের বহুমুখী ফসল আবাদ সম্প্রসারণ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত জাত/ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, মানসম্মত নিরাপদ ফসল উৎপাদন এর মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে জনগণের আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ  কৃষি উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হবে। দেশে বর্তমানে এক ফসলি জমি আছে ১৯.২৮ লক্ষ হেক্টর, দুই ফসলি ৪৪.৪৬ লক্ষ হেক্টর, তিন ফসলি ২২.০৭ লক্ষ হেক্টর এবং চার ফসলি জমি আছে ৬১.৮২ হাজার হেক্টর (সূত্র: ডিএই, ২০২০-২১)। স্থানীয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এক ফসলি জমির কিছু অংশ দুই ফসলী এবং দুই ফসলি জমির কিছু অংশ তিন ফসলিতে রূপান্তর করে চাষাবাদ করতে পারলেই উৎপাদন বাড়বে যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। দানাজাতীয় খাদ্য চাহিদামাফিক উৎপাদন করে বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমদানি নির্ভর ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন, কৃষির উন্নতি ছাড়া এদেশের মানুষের মুক্তি আসতে পারে না। ক্ষুধা নিবারণের প্রধান উপাদানের জোগানদাতাদের তিনি তাই সর্বদাই সর্বোচ্চ স্থান দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষক, শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও একই মানসিকতার। তাই আমাদের সকলের উচিত তাদের এই মানসিকতার মূল্য উপলব্ধি করে, যার যার অবস্থান থেকে নিজেদেরকে সার্বিক কৃষি উৎপাদন কাজে যথাযথভাবে আত্মনিয়োগ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের উৎপাদন অবস্থানকে আরও সুসংহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।

লেখক : ১মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ২উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১৭০৭০৭৩৬, ই-মেইল :drshameem66@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon